চোরা শিকারি, বনদস্যুদের দাপট, অভয়ারণ্যে অবাধ যাতায়াত, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে গত কয়েক দশকে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা কমছিল। কমছিল বাঘের শিকার প্রাণীর সংখ্যাও। সবশেষ ২০২৮ সালে বাঘ জরিপে সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায়।
এরপর অভয়ারণ্য বাড়ানো এবং সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করাসহ নানা উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ। যার সুফলও মিলতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে বাঘের প্রজনন, নিরাপত্তা ও সংখ্যা বৃদ্ধিতে সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২২ সালে তৃতীয়বারের মতো সুন্দরবনের বাঘ গণনা শুরু হয় যা চলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট রেঞ্জের ৬৩৯টি গ্রিডে ক্যামেরা বসিয়ে সংগ্রহ করা হয় ছবি। এসব ছবির তথ্য-উপাত্ত নিয়ে নিয়ে এখন চলছে বিশ্লেষণ।
বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর সাড়ে ১০ লাখেরও বেশি ছবি পাওয়া যায়। এরমধ্য থেকে সাড়ে ৭ হাজার বাঘের ছবি নিয়ে চলে বিশ্লেষণ, যা শেষ হয়েছে ৭ জুলাই। এই সাড়ে সাত হাজার বাঘের ছবি থেকে ইউনিক বাঘের ছবি নির্ধারণ করতে এখন চলছে বিশ্লেষণ।